Daily Prothom Barta - Menu
রূপগঞ্জে স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতাসহ ৭ জনকে কুপিয়ে জখম: ইউপি চেয়ারম্যানসহ ২৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা
শহর প্রতিনিধি :
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে সন্ত্রাসীরা অতর্কিত হামলা চালিয়ে ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাধারন সম্পাদকসহ সাত নেতাকর্মীকে এলোপাথারি ভাবে কুপিয়ে গুরুতর জখম করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। সোমবার (০৪ ফেব্রুয়ারী) রাতে এশিয়ান হাইওয়ে (বাইপাস) সড়কের পাশের উপজেলার মাঝিপাড়া লালমাটি এলাকার জাহাঙ্গীরের মালিকানাধীন বন্ধ হোটেলের সামনে ঘটে এ ঘটনা।
আহতরা হলেন, দাউদপুর ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাধারন সম্পাদক আক্তারুজ্জামান, রাকিব হাসান, রাহাত মোল্লা, আসিফ দেওয়ান, সানি মালুম ও ইসমাইল হোসেন। আহতদের মুমুর্ষ অবস্থাায় বসুন্ধরা এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহতদের প্রত্যেকের অবস্থাা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন আহতদের স্বজনরা। এ ঘটনার পর থেকে এলাকায় জনমনে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে।
এ ঘটনায় মঙ্গলবার (০৫ ফেব্রুয়ারী) দুপুরে দাউদপুর ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাধারন সম্পাদক আহত আক্তারুজ্জামানের চাচাতো ভাই সেলিম মিয়া নামের এক ব্যক্তি বাদী হয়ে দাউদপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম জাহাঙ্গীর মাষ্টারকে প্রধান আসামী করে ২৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
মামলার বাদী সেলিম মিয়া জানান, দাউদপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম জাহাঙ্গীর মাষ্টারের নেতৃত্বে এলাকার একদল চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা দাউদপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন মৌজার নিরীহ মানুষের জমি-জমা জোরপুর্বক জবরদখল করে বালু ভরাট করে ক্ষতিগ্রস্থ্যা ও হয়রানি করে আসছিলো। আর নিরীহ মানুষের পাশে থেকে এসব জবরদখল, বালু ভরাট ও ভুমিদস্যুতার প্রতিবাদ করে আসছিলেন দাউদপুর ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাধারন সম্পাদক আক্তারুজ্জামানসহ দলীয় নেতাকর্মীরা। প্রতিবাদ করায় সন্ত্রাসীরা বিভিন্ন সময় হত্যাসহ নানা ভাবে হুমকি-ধামকি দিয়ে আসছিলো।
সোমবার রাত পৌনে ৭টার দিকে ঢাকা আন্তর্জাতিক বানিজ্যে মেলা থেকে নিজ বাড়ি কালনী এলাকায় ফিরছিলেন দাউদপুর ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাধারন সম্পাদক আক্তারুজ্জামানসহ সহপাঠিরা। পরে এশিয়ান হাইওয়ে (বাইপাস) সড়কের পাশের উপজেলার মাঝিপাড়া লালমাটি এলাকার জাহাঙ্গীরের মালিকানাধীন বন্ধ হোটেলের সামনে পৌছাবামাত্র দাউদপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম জাহাঙ্গীর মাষ্টারের নেতৃত্বে সন্ত্রাসী জালাল, আশিকুল ইসলাম খোকন, রোবেল, বুলবুল, সাজিদ, শাকিল, সজীব, ইমান আলী, শুভ, বিপ্লব, জবল হক, দেলোয়ার, আলামিন, মোতালিব, তৌহিদ, নজরুল ইসলাম, হারিজুল, আসাদুজ্জামান রিফাত, তপু, সাগর, সুমন, সানি, রোবেল, লায়েস, মঞ্জুর হোসেন, গোলজার, আরমান মিয়া ও কাইয়ুম রামদা, চাপাতি, ছেন, দা, কিরিজ, চাকুসহ বিভিন্ন অস্ত্রেশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে আক্তারুজামানদের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। এসময় আক্তারুজ্জামান, রাকিব হাসান, রাহাত মোল্লা, আসিফ দেওয়ান, সানি মালুম ও ইসমাইল হোসেনকে এলোপাথারি ভাবে এলোপাথারি ভাবে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে পালিয়ে যায়। পরে পরিবার ও স্থাানীয় লোকজন তাদের উদ্ধার করে বসুন্ধরা এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করেন। আহতদের প্রত্যেকের অবস্থাা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন আহতদের স্বজনরা।
এ বিষয়ে দাউদপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম জাহাঙ্গীর মাষ্টারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এ ঘটনার ব্যপারে আমার কিছু জানা নেই। আমার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। তবে, অনুমান করছি তাদের নিজেরা নিজেরা ঘটনা ঘটিয়েছে।
রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দিপঙ্কর চন্দ্র সাহা বলেন, ঘটনার পর থেকেই আসামীরা পলাতক রয়েছে। আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।