Daily Prothom Barta - Menu
ফাঁকা গুলি ছোড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন আনে পুলিশ ইউপি সদস্যসহ ৮জন আহত
সোনারগাঁ প্রতিনিধি:
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের বৈদ্যেরবাজার ইউনিয়নের হাড়িয়া চৌধুরী পাড়া এলাকায় পূর্ব শত্রæতার জের ধরে প্রতিপক্ষের হামলায় ইউপি সদস্যসহ ৮জন আহত হয়েছে। গত বুধবার রাতে এ ঘটনা ঘটে। আহতদের সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। হামলার ঘটনা প্রচার হলে উভয় পক্ষের লোকজন উত্তেজিত হয়ে পুনরায় লাঠিসোটা ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষের চেষ্টা করে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তিন রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। তবে গুলি ছোড়ার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন সোনারগাঁ থানার ওসি এস এম কামরুজ্জামান। এঘটনায় গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে আহত মো. সুমন মিয়া বাদি হয়ে সোনারগাঁ থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, উপজেলার বৈদ্যেরবাজার ইউনিয়নের পানাম গাবতলী গ্রামের আব্দুল আউয়ালের ছেলে মো. সুমনের সঙ্গে পার্শ্ববর্র্তী হাড়িয়া চৌধুরী পাড়া গ্রামের আমিনুল ইসলামের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে পূর্ব শত্রæতা চলে আসছিল। এ শত্রæতার জের ধরে গত বুধবার রাত ৯ টার দিকে হাড়িয়া চৌধুরী পাড়া এলাকায় মোটর সাইকেল যোগে বৈদ্যোরবাজার ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য দেলোয়ার হোসেন বাবু ও সুমন মিয়া বাজারে যাচ্ছিলেন। পথে তাজুল ইসলামের বাড়ির সামনে প্রতিপক্ষ আমিনুল ইসলামের নেতৃত্বে রাম, দা, ছোরা, লাঠিসোটা, লোহার রড, হকিস্টিক, এসএস পাইপ নিয়ে জামান, তাজুল ইসলাম, হুমায়ুন কবির, সিফাত, সোহাগ, হৃদয়, রফিক, ইমরান, মিহিন উল্লাহসহ ২০-২৫ জনের একটি দল গতিরোধে হামলা চালায়। এসময় ইউপি সদস্য দেলোয়ার হোসেন বাবু ও সুমন মিয়াকে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। তাদের ডাক চিৎকারে ওই এলাকার মোক্তার, শামীম, ইব্রাহিম, হানিফা, আবু ইউসুফ হামলা কারণ জানতে চাইলে তাদেরকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে আহত করে। আহতদের সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্র্তি করে। হামলার ঘটনা প্রচার হলে উভয় পক্ষের লোকজন উত্তেজিত হয়ে পুনরায় লাঠিসোটা ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষের চেষ্টা করে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তিন রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। বৈদ্যেরবাজার ইউনিয়ন পরিষদের ৩নংওয়ার্ড সদস্য দেলোয়ার হোসেন বাবু জানান, ইউপি চেয়ারম্যান আল আমিন সরকারে ইন্ধনে দীর্ঘদিন ধরে পার্শ্ববর্তী ২নং ওয়ার্ড সদস্যআব্দুল্লাহ আল মামুনের ওপর হামলা করার জন্য চেষ্টা চালিয়ে আসছে প্রতিপক্ষরা। বুধবার রাতেও আমিনুল ইসলামের নেতৃত্বে হামলার চেষ্টা করে। তাকে এগিয়ে দিতে গিয়ে হামলার শিকার হয়েছি। অভিযুক্ত আমিনুল ইসলাম বলেন, আমাদের সঙ্গে তাদের কোন শত্রæতা নেই। স্থানীয় এক ছেলেকে মারধরের ঘটনায় চেয়ারম্যানের কাছে বিচার দাবি করার কারনে মামুন ও বাবু মেম্বার ক্ষিপ্ত হয়। এ কারণে তর্কবিতর্কে সংঘর্ষ হয়। এতে আমাদের ৫জন আহত হয়েছেন। বৈদ্যোরবাজার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আল আমিন সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, হামলার ও সংঘর্ষে আমার কোন প্রকার ইন্ধন নেই। এতে আমাকে জড়িয়ে অপ-প্রচারের চেষ্টা চলছে। সোনারগাঁ থানার ওসি এস এম কামরুজ্জামান বলেন, হামলার ঘটনায় অভিযোগ গ্রহন করা হয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। তবে গুলি ছোড়ার ঘটনা সত্য নয়।