Daily Prothom Barta - Menu
বন্দরে ২ নৈশ প্রহরী হত্যাকান্ড: ডাকাতির ঘটনার ৭জন গ্রেফতার
নারায়ণগঞ্জের বন্দরে দুই নৈশ প্রহরীকে হত্যা করে তিনটি ব্যাটারীর দোকানে ডাকাতির ঘটনার দলীয় প্রধান সহ ৭ জনকে গ্রেফতার করেছে জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। শনিবার সন্ধ্যা থেকে মধ্য রাত ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। এসময় তাদের কাছ থেকে ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত পিকআপ ও যন্ত্রপাতি জব্দসহ উদ্ধর করা হয়েছে লন্ঠিত ৭০ হাজার টাকা মূল্যের ব্যাটারী। রবিবার দুপুরে জেলা পুলিশ সুপার তার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
গ্রেফতারকৃতরা হচ্ছে-মোক্তার হোসেন, রনি হোসেন, রানা ফকির, জাহিদুল শরীফ, তাহিদুল, জসিম. মুন্না, শাওন রানা এবং আতিকুর রহমান। তাদের প্রত্যেকের বয়স ২০ থেকে ২২ বছরের মধ্যে।
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার মঈনুল হক জানান, গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে ৬ জনই জোড়া খুন ও ডাকাতির ঘটনায় স্বশরীরে অংশগ্রহণ করেছে। অপর একজন লন্ঠিত ব্যাটারী বেচাকেনার সাথে সম্পৃক্ত ছিল। এই ঘটনার পর পর সংঘবদ্ধ এই চক্রটি মুন্সীগঞ্জে এ ধরনের একটি ঘটনা ঘটিয়েছে। ডাকাত দলে কমপক্ষে এগারো থেকে বারো জন সদস্য রয়েছে। তবে এই হত্যৗাকান্ড ও ডাকাতির ঘটনার সাথে সাতজনের মধ্যে স্থানীয় একজন রয়েছে। ঘটনার আগে ডাকাতরা কয়েক দফায় ওই এলাকায় গিয়ে পর্যবেক্ষণ করে গেছে। পরে পূর্ব প্রস্তুতি নিয়ে ডাকাতি করতে আসে। তিনি জানান, গ্রেফতকারকৃত ৭ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করে আদালতে হাজির করা হবে।
গত ২১ জুলাই রতা আনুমানিক দুইটার দিকে বন্দর উপজেলার দক্ষিণ লক্ষলেখালা বাজারে একদল তরুণ ডাকাত হানা দেয়। ডাকাতরা রায়হান উদ্দিন ও মোতালেব নামের দুই নৈশ প্রহরীকে নৃশংসভাবে হত্যা করে তিনটি ব্যাটারীর দোকান থেকে ২৭ লাখ ৭৮ হাজার টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। এ ঘটনার পরদিন ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে বিছমিল্রাহ ব্যাটারীর মালিক আলমগীর হোসেন বাদি হয়ে বন্দর থানায় একটি ডাকাতি মামলা দায়ের করেন। পরে সিসি ক্যামেরার ভিুডও ফুটেজ দেখে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ ডাকাতদের পরিচয় শনাক্ত করে।#