Daily Prothom Barta - Menu
বন্দর শিল্পকলা একাডেমী’র সদস্য সংগ্রহে অনিয়মের অভিযোগ
প্রকাশিত: রবিবার, ৮ জুলাই, ২০১৮
বন্দর শিল্পকলা একাডেমীর সদস্য সংগ্রহে অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। আবেদন করেও সদস্য পদ পাননি খ্যাতিমান সংগীত ও সংস্কৃতবান ব্যক্তিরা। পক্ষান্তরে গ্রুপিং লবিং ও চাপ প্রয়োগ করে সদস্য পদ বাগিয়ে নিয়েছে অধিকাংশ অশিল্পীরা। সূত্র জানায়, বন্দর শিল্পকলা একাডেমীর নতুন ভোটার সদস্য প্রক্রিয়া শেষ হয় কিছুদিন পূর্বে। কিন্তু শিল্পকলা সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিবর্গের জন্য হলেও একশ্রেণীর অসাধু স্বার্থান্বেষী লোক প্রভাব বিস্তারের জন্য সুকৌশলে বেশ কিছু অসাংস্কৃতিক ব্যক্তিকে ঢুকিয়ে দেয়। যাদের সাংস্কৃতিক অংগনের সঙ্গে কোন প্রকার সম্পর্ক নেই। তাদেরকে সদস্য হিসেবে অন্তর্ভূক্তি করে ভোটার সংখ্যা বৃদ্ধির অপচেষ্টা করা হয়েছে।
বন্দরের বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব বাংলাদেশ টেলিভিশনের সংগীত পরিচালক মোঃ মানির হোসেন বন্দও শিল্পকলা একাডেমীর সদস্য পদ পেতে নিয়ম অনুযায়ী আবেদন করেন। কিন্তু সদস্যের অযোগ্য আখ্যায়িত করে তাকে বাদ দেয়া হয়েছে। বিশিষ্ট বাউল শিল্পি আবুল সরকারের অন্যতম শিষ্য আসলাম সরকারকে অযোগ্য আখ্যায়িত করে বাদ দেয়া হয়। বাংলা একাডেমির সদস্য সাহিত্যিক ইয়াদী মাহমুদকে অযোগ্য আখ্যায়িত করে বাদ দেওয়া হয়। ছাড়াও বন্দরের আরও বেশ কিছু সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব অভিযোগ করেন যে, সদস্য সংগ্রহের প্রক্রিয়াটাই ছিল ভুল। কেননা তারা এত কাছে থেকেও এবং সাংস্কৃতিক অঙ্গনে জড়িত থাকার পরেও জানেনইনা যে সদস্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। বন্দরের প্রবীণ তবলা বাদক নারয়ণগঞ্জ শিল্পকলা একাডেমীর পুরস্কারপ্রাপ্ত যন্ত্র শিল্পী ফণী দাস তার ছেলে যন্ত্র শিল্পী কৃষ্ণ দাস তারা জানেইনা যে বন্দর শিল্পকলা একাডেমীর সদস্য নেয়া হচ্ছে।
বন্দর প্রেস ক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নাট্য ব্যক্তিত্ব নাসির উদ্দিন, সহ-সভাপতি নাট্য ব্যক্তিত্ব কাজিম উদ্দিন সদস্য সংগ্রহের বিষয়ে কিছুই জানেননা বলে জানান। বন্দরের ঐতিহ্যবাহি সিরাজউদ্দৌলা নাট্য গোষ্ঠীর কর্ণধার মুক্তিযোদ্ধা খোরশেদ আলম খসরু । তিনি জানেন না এলাকায় সদস্য সংগ্রহের কাজ চলছে। প্রকৃত সাহিত্য ও সংস্কৃতিমনা ব্যক্তিদের অন্তর্ভূক্তির মাধ্যমে নতুন করে সদস্য তালিকা প্রস্তুত করার দাবি জানিয়েছে সাংস্কৃতিক অঙ্গনের সকল ব্যক্তিবগ। সূত্র জানায়, প্রার্থীদের মধ্যে কয়েকজনকে ফোন কলের মাধ্যমে সঠিক প্রমাণাদি সহ শনিবার উপজেলা থাকতে বলা হয়, বলা বাহুল্য অনেক আবেদনকারী কোন প্রকার ফোন কল পাননি বলে দাবি করেন। অনেকেই দাবি করছেন শনিবার সকালে আবেদনকারীদের (সাহিত্য এবং সংস্কৃতিকর্মী) কোন প্রকার প্রমাণাদি দলিল না নিয়ে অভিনয় করে দেখাতে বলা হয় এবং ইচ্ছামতো যাচাই-বাছাই করে বেশকিছু অযোগ্য প্রার্থী সদস্য অন্তর্ভুক্ত করা হয়। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি গঠনতন্ত্র অনুযায়ী যে ব্যক্তি কোন শিল্প সাহিত্যের সাথে জড়িত নয় এমনকি মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় সংস্কৃতি চর্চা করে না অথবা রাজাকার বা তাদের দোসরদের সদস্য হওয়া অযোগ্য বলে বিবেচিত হবে জানা সত্ত্বেও উক্ত তালিকায় এমন অনেক সদস্য সদস্যভুক্ত করা হয়।#