Daily Prothom Barta - Menu
বীর মুক্তিযোদ্ধাদারা বয়কট করল উপজেলা নব নির্বাচিত চেয়ারম্যানকে
বন্দর প্রতিনিধি: রাজাকারের পুত্র হওয়ায় বন্দর উপজেলার নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান মাকসুদ হোসেনকে প্রত্যাখ্যান জানিয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করেছে বন্দরের সূর্য সৈনিক বীর মুক্তিযোদ্ধাগন । সোমবার (২৪ জুন) দুপুরে বন্দর মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সে সাংবাদিক সম্মেলনের মাধ্যমে বন্দর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের ডেপুটি কমান্ডার কাজী নাসির এ ঘোষনা দেন।
সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ডেপুটি কমান্ডার কাজী নাসির বলেন, ১৯৭১ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে জয়বাংলা শ্লোগান দিয়ে শপথ নিয়েছিলাম, বাংলাদেশকে স্বাধীন করব। আমরা মরণপন যুদ্ধ করে বাংলাদেশ স্বাধীন করেছি। বাংলাদেশ স্বাধীন করতে গিয়ে আমাদের মা বোনদের ইজ্জত হারাতে হয়েছে। শহীদ হয়েছে ৩০ লাখ মানুষ। যাদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত এই স্বাধীন বাংলাদেশ। যারা বাংলাদেশের স্বাধীনতা বিরোধী সেই কুখ্যাত রাজাকার ও তাদের দোসরদের আমরা ঘৃণা করি। আমরা তাদের কোন প্রকার ছাড় দিতে পারি না। পারিনা সেই বীর মুক্তিযোদ্ধাদের রক্তের সাথে বেঈমানী করতে। এ জন্য আমরা বন্দর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ডের পক্ষ থেকে ঘোষনা করছি, স্বাধীনতা বিরোধী চক্র ও রাজকারের সন্তানকে ছাড় দেব না আমরা শক্ত হাতে তা প্রতিহত করব। গত ৮ মে বন্দর উপজেলা নির্বাচনে ১৯৭১ সালে দেশদ্রোহী সেই কুখ্যাত রাজাকার রফিক পুত্র মাকসুদ হোসেন টাকার জোরে বন্দর উপজেলার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছে। আমরা বীর মুক্তিযোদ্ধারা তা কোন প্রকারেই মেনে নিতে পারি না। সদ্য নির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যান মাকসুদ হোসেনের পিতা কুখ্যাত রাজাকার রফিক স্বাধীনতা যুদ্ধ চলাকালিন সময় পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীদের নিয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল আজিজকে হত্যা করে। শুধু তাই নয় ধামগড় ও মুছাপুরে বিভিন্ন সাধারণ মানুষের বাড়ি ঘরে অগ্নি সংযোগসহ লুটপাট করে। যা সেই সময়ে সে এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে রেখেছিল। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর বীর মুক্তিযোদ্ধা আলাউদ্দিনসহ নিরীহ লোকদের অকাতরে হত্যা করে। সেই বর্বর ও কুখ্যাত খুনী রাজাকার রফিকের পুত্র মাকসুদকে বন্দর উপজেলা চেয়ারম্যান হিসাবে প্রত্যখান করছি। গত ১২ জুন সে উপজেলার দায়িত্ব নেয়ার সময় বন্দর উপজেলার বীর মুক্তিযোদ্ধারা তাকে বয়কট করেছে। বন্দর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের সভায় বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত নেয়া হয় আমরা রাজাকার পুত্রের সকল অনুষ্ঠান বয়কট করলাম। আমরা তার দ্রুত অপসারন দাবি করছি।
সংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মোশারফ হোসেন খান, বীর মুক্তিযোদ্ধা আ: জাব্বার,বীর মুক্তিযোদ্ধা আ: আজিজ, বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী মোবারক,বীর মুক্তিযোদ্ধা হাজী লিয়াকত আলী,বীর মুক্তিযোদ্ধা আ: ছালাম,বীর মুক্তিযোদ্ধা হাজী সফিউদ্দিন,বীর মুক্তিযোদ্ধা রাহিম সাউদ,বীর মুক্তিযোদ্ধা হাজী নুরুল আমিন,বীর মুক্তিযোদ্ধা আ: বাতেন,বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজাফ্ফর হোসেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা আলী আক্কাস,বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ হোসেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম ওবীর মুক্তিযোদ্ধা জালাল উদ্দিন জালু প্রমুখ।
ভিডিও
...অন্যান্য বিভাগের আরো কিছু খবর...
শিরোনাম