Daily Prothom Barta - Menu
মাদক ব্যবসায় বাধা দেয়ায় রিক্সা চালক কে ‘সিনেমার স্টাইলে’ তুলে নিয়ে নির্যাতন
শহর প্রতিনিধিঃ
সোনারগাঁয়ে মাদক ব্যবসায় বাধা দেয়ায় ‘সিনেমার স্টাইলে’ এক ব্যবসায়ীকে তুলে নিয়ে, মারধর এবং মাদক দিয়ে পুলিশের কাছে সোপর্দ করার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় মেম্বার মোঃ মনির ওরফে মাদক ব্যবসায়ী মনিরুজ্জামান মনির মেম্বারের বিরুদ্ধে।
মঙ্গলবার(১১ জুন) উপজেলার নোয়াগাঁও ইউনিয়নের পরমেশ্বরদী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এতে ভুক্তভোগী মোঃ শরিফ (৪৫) বাদী হয়ে সোনারগাঁও থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযুক্ত আসামীরা হলেন সোনারগাঁও উপজেলার নোয়াগাঁও ইউনিয়নের পরমেশ্বরদী গ্রামের মৃত তোতা মিয়ার ছেলে মোঃ মনির (৪৫) এবং তার দুই ছেলে মোঃ ফয়সাল (২৭) ও বিশাল (২৪)।
থানায় অভিযোগে জানা যায়, মোঃ মনির (৪৫) ওরফে মনির মেম্বার ও তার ছেলেরা মাদকাসক্ত, মাদকের ব্যবসায়ী, উশৃংখল, দাঙ্গাবাজ, পরধন লোভী ও খারাপ প্রকৃতির লোক। তারা এলাকায় বিভিন্ন অপকর্ম করে থাকে। তাদের অত্যাচারে এলাকার সাধারন জনগন অতিষ্ঠ।
গত ১১জুন পূর্ব শত্রুতার জেরধরে রাত আনুমানিক ০৯:০০ ঘটিকার সময় পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে সোনারগাঁ থানাধীন পরমেশ্বরদীর আলম এর চায়ের দোকান হতে ভুক্তভোগী শরীফকে মোটর সাইকেল যোগে উঠিয়ে তাদের বাড়ীতে নিয়ে আটক করে এবং হত্যার উদ্দেশ্যে এলোপাতারী মারপিট করব তার হাতে, পায়ে, পিঠে, মাথায় ও মুখমন্ডল সহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে নিলা ফুলা জখম করে।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী মোঃ শরিফ বলেন, আমি সেদিন আলম ভাইয়ের দোকানে চা খাচ্ছিলাম। মাদক ব্যবসায়ী মনির মেম্বারের ছেলে ফয়সাল, আমাকে মোটরসাইকেলে করে তুলে নিয়ে যায়। সে আমাকে আমতলায় নিয়ে, অনেক মারধর করে। এবং আমাকে মাদক দিয়ে পুলিশের কাছে ধরিয়ে দেওয়ার হুমকি দেয়।
তিনি আরো বলেন, মনির মেম্বার ইয়াবার ডিলার। কিছু হলেই সে চেয়ারম্যান ও এমপি সাহেবের নাম বিক্রি করে। আমি কোথায় এর সুষ্ঠু বিচার পাব। তার অত্যাচারে আমি এবং আমার পরিবার আতঙ্কিত। আমরা জীবননাশের হুমকিতে আছি। আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকাবাসী জানান, পর্মেশ্বদী গ্রামের মৃত তোতা মিয়ার ছেলে মনির অনেক বছর যাবৎ মাদক ব্যাবসা করে আসছে, তার নামে সোনারগাঁ থানায় একাধিক মাদকসহ ছিনতাই ডাকাতি ও চাঁদাবাজি মামলা আছে। গত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে তার মাদক ব্যাবসা আরো প্রসারিত হয়। তার নিজ এলাকায় ঘরে তুলেছে কিশোর গ্যাং, আর সেই গ্যাংএর নেতৃত্ব দিচ্ছে তার দুই ছেলে বিশাল ও ফয়সাল। এর আগে তার এক ছেলেকে পুলিশ সুইচ গিয়ার সহ আটক করেছিল।
এ বিষয়ে এবিষয়ে নোয়াগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সামসু আলম সামসু বলেন, আমি মনির মেম্বার কে হাজার বার নিষেধ করেছি, সে যেন তার মাদক ব্যাবসা বন্ধ করে কিন্তু আমি ব্যার্থ সে একটা বেয়াদব এবং তার ছেলেরা আরোও বেয়াদব এবং বেপরোয়া। আগে সে জাতীয় পার্টির ওয়ার্ড সভাপতি ছিলো সেই প্রভাব খাটিয়ে এলাকায় মাদক ব্যাবসা করেছে মাদক ব্যবসায় সম্পৃক্ত থাকার কারণে মনিরকে জাতীয় পার্টি থেকে বহিষ্কার করা হয়। এখন সে আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে মাদক ব্যবসা করছে।
এ বিষয়ে সোনারগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) এইচ এম কামরুজ্জামান বলেন, আমাদের মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স। অভিযোগের সততা পাওয়া গেলে আমরা তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিব।
ভিডিও
...অন্যান্য বিভাগের আরো কিছু খবর...
শিরোনাম