Daily Prothom Barta - Menu
সোনারগাঁয়ে ঘুরতে গিয়ে হামলার শিকার সাংবাদিকের আত্মীয় স্বজন
সোনারগাঁ প্রতিনিধি: নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে ঘুরতে গিয়ে হামলার শিকার হয়েছেন সাংবাদিকের আত্মীয় স্বজন। সোমবার সকালে তার চাচাতো ভাই স্কুল ছাত্র মো. ইফরান ভূঁইয়া কাঁচপুর ইউনিয়নের ওলামা নগর বেড়িবাঁধ এলাকায় ঘুরতে গিয়ে তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে এ হামলার ঘটনা ঘটে। আহতদের সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়। এ ঘটনায় দৈনিক বাংলাদেশ বুলিটিনের রূপগঞ্জ প্রতিনিধি মো. সাজেদুর রহমান বাদি হয়ে সোনারগাঁ থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। জানা যায়, রূপগঞ্জের যাত্রামুড়া এলাকার ইয়ামিন ভূঁইয়ার ছেলে হাজী এখলাছ উদ্দিন ভূঁইয়া স্কুল এন্ড কলেজের ১০ম শ্রেণীর শিক্ষার্থী মো. ইফরান ভূঁইয়া গতকাল সোমবার সকাল ১০টার দিকে কাঁচপুর ইউনিয়নের ওলামা নগর বেড়িবাঁধ এলাকায় একটি রেস্টুরেন্টে ঘুরতে যান। এক পর্যায়ে কাঁচপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৬নং ওয়ার্ড সদস্য আমানউল্লাহর ছেলে মো.লাদেন ওই স্কুল ছাত্রের ব্যবহৃত একটি আইফোন-১০ ছিনিয়ে নেয়। এ নিয়ে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে খবর পেয়ে ওই ছাত্রের চাচা মনির হোসেন ভূঁইয়া, চাচাতো ভাই ইয়ানুছ ভূইয়া ও বোন মৌসুমী ভূইয়া ঘটনাস্থলে গিয়ে ফোনটি ফেরত দেওয়ার অনুরোধ করেন। এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি ও ধ্বস্তাধস্তি হয়। পরে কাঁচপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৬নং ওয়ার্ড সদস্য আমানউল্লাহর নেতৃত্বে বেহাকৈর এলাকার সোহেল, মো. রবিন, মো. লাদেন, মো. জামান মিয়া, মো. সুমন, বাপ্পীসহ ১০-১২জনের একটি দল ছুরি, চাপাতি, লাঠিসোটা, দা, চাইনিজ কুড়াল, লোহার রডসহ দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে তাদের ওপর হামলা করে। হামলায় মো. ইফরান ভূঁইয়া, মনির হোসেন ভূঁইয়া, ইয়ানুছ ভূইয়া ও মৌসুমী ভূইয়া, সাইফুল ইসলাম আহত হন। এক পর্যায়ে তাদের আটক করে পূর্ব বেহাকৈর বটতলা এলাকায় দ্বিতীয় দফায় মারধর করেন। খবর পেয়ে পুলিশ ও আহতদের আত্মীয় স্বজন ঘটনাস্থলে গিয়ে আহতদের উদ্ধার করে সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। এ ঘটনায় দৈনিক বাংলাদেশ বুলিটিনের রূপগঞ্জ প্রতিনিধি মো. সাজেদুর রহমান বাদি হয়ে ইউপি সদস্য আমানউল্লাহকে প্রধান আসামী করে সোনারগাঁ থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের বাদি দৈনিক বাংলাদেশ বুলিটিনের রূপগঞ্জ প্রতিনিধি মো. সাজেদুর রহমান বলেন, ইউপি সদস্যের ছেলের ছিনতাই ঢাকতে তার আত্মীয় স্বজনের ওপর ন্যাক্কারজনক হামলা করে। হামলার তার ৫স্বজন আহত হয়েছেন। এ হামলা নিন্দা জানিয়ে হামলাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন। অভিযুক্ত কাঁচপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৬নং ওয়ার্ড সদস্য আমানউল্লাহ বলেন, স্কুল ছাত্র একটি মেয়ে নিয়ে ঘুরতে আসে। আমার সৎ ভাই সুমনের সঙ্গে কথাকাটাকাটি হয়েছে। এক পর্যায়ে মোবাইল ফোনটি আমার ভাই সুমন নিয়েছিল। এটি তাদের এক কমিশনারের মাধ্যমে ফেরত দিয়েছি। বিষয়টি মিমাংসার চেষ্টা চলছে। সোনারগাঁ থানার উপ-পরিদর্শক(এসআই) পঙ্কজ কান্তি সরকার বলেন, ছিনতাই ও হামলার ঘটনায় অভিযোগ গ্রহন করা হয়েছে। তদন্ত করে মামলা গ্রহন শেষে অভিযুক্ত আসামীদের গ্রেপ্তারে কাজ করছে পুলিশ।