Daily Prothom Barta - Menu
সোনারগাঁয়ে প্রধান শিক্ষকের অপসারণ চেয়ে ৩১ শিক্ষক কর্মচারীর স্মারকলিপি
সর্বশেষ • প্রধান সংবাদ • শিক্ষা ও ক্যাম্পাস ||
Daily Prothom Barta
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
শহর প্রতিনিধি:
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বৈদ্যেরবাজার নেকবর আলী মুন্সি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. কামাল হোসেনের অপসারণ চেয়ে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে তার আর্থিক অনিয়ম, সেচ্ছাচারিতা, রাজনৈতিক প্রভাব খাটানোসহ নানা অনিয়ম- দূর্নীতি তুলে ধরে ওই স্কুলের ৩১ শিক্ষক কর্মচারীর স্বাক্ষরে সোনারগাঁ উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে এ স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। স্মারকলিপির অনুলিপি সোনারগাঁ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে দেওয়া হয়েছে।
স্মারকলিপিতে শিক্ষকরা উল্লেখ করেন, উপজেলার বৈদ্যেরবাজার নেকবর আলী মুন্সি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. কামাল হোসেন বিদ্যালয়ে নিয়োগ পাওয়ার পর থেকে আর্থিক অনিয়ম, নারী কেলেঙ্কারী, সেচ্ছাচারিতা, শিক্ষক কর্মচারীদের সঙ্গে অসদ আচরণ, রাজনৈতিক প্রভাব খাটানোসহ নানা অনিয়ম ও দূর্নীতির সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন। কোন শিক্ষক কর্মচারী প্রতিবাদ করলেই তাকে চাকুরিচুত্যের ভয় দেখানো হতো।
স্মারকলিপিতে আরো উল্লেখ করেন, শেখ হাসিনা সরকারের ক্ষমতাধর জনপ্রতিনিধির ছত্রছায়ায় প্রধান শিক্ষক নির্বিঘেœ নিজের অপকর্ম চালিয়ে গেছেন। তিনি সোনারগাঁ উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি হওয়ার কারনে এসক অপকর্ম নির্বিঘেœ চালিয়ে গেছেন। প্রধান শিক্ষক কখনোই শ্রেণি কক্ষে পাঠদান করতেন না। তিনি রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় মাসে স্কুল ফান্ড থেকে ৩১ হাজার টাকা বেতন নিতেন। এসব অপকর্মের জন্য তাকে অপসারণ করে শিক্ষক কর্মচারী ও শিক্ষার্থীদের মুক্তি দাবি করেন।
বৈদ্যেরবাজার নেকবর আলী মুন্সি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক মো. খলিলুর রহমান বলেন, প্রত্যেক শিক্ষক স্কুলে উপস্থিত হয়ে হাজিরা খাতায় প্রতিদিন স্বাক্ষর করেন। প্রধান শিক্ষক কামাল হোসেন দুই তিন সপ্তাহ পর এসে একদিনের মনগড়া সব স্বাক্ষর করেন হাজিরা খাতায়। আপ্যায়ন ও যাতায়াত ব্যয়ের তিনি নামে লাখ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেন। তিন বছরে তিনি প্রায় অর্ধ কোটি টাকা আত্মসা’ করেছেন।
বৈদ্যেরবাজার নেকবর আলী মুন্সি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষাক কুইন ফেরসৌদ জানান, প্রধান শিক্ষক কামাল হোসেনের বিএড সার্টিফিকেট জাল।এ জাল সার্টিফিকেট ব্যবহার করে প্রধান শিক্ষকের পদে তিনি বহাল রয়েছেন। বর্তমানে প্রধান শিক্ষক কামাল হোসেন পলাতক রয়েছেন। স্কুলে আসেন না।
অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক মো. কামাল হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, তার বিরুদ্ধে দায়ের করা অভিযোগ সত্য নয়। তবে শিক্ষকদের সঙ্গে তার ভালো সম্পর্ক ছিল। তার বিরুদ্ধে একটি মহল ষড়যন্ত্র করছে।
সোনারগাঁ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফারজানা রহমান বলেন, বৈদ্যেরবাজার নেকবর আলী মুন্সি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ পেয়েছি। মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারকে অভিযোগের তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হবে। তদন্তে দোষী প্রমাণিত হলে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ভিডিও
...অন্যান্য বিভাগের আরো কিছু খবর...
শিরোনাম