Daily Prothom Barta - Menu
শামীম ওসমান ও মেয়র আইভী ছাড়া কারো কথা শুনবো না:হুমায়ুন মৃধা
শহর প্রতিনিধি
মহানগর আ’লীগের ৯টি ওয়ার্ডে পদবঞ্চিত নেতাদের উদ্যোগে নবঘোষিত কমিটিকে অবাঞ্চিত ঘোষনা করে প্রতিবাদ সভা ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার ১৭ ফেব্রুয়ারী বিকেলে বন্দর ২১নং ওয়ার্ডস্থ শাহীমসজিদ ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসা মাঠে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মহানগর আ’লীগের যুব ও ক্রিড়া বিষয়ক সম্পাদক হুমায়ুন কবির মৃধা।
নবীগঞ্জ ইউনিয়ন আ’লীগের সাবেক সভাপতি তথা ২৪নং ওয়ার্ডে আ’লীগ নেতা শাহআলম মিয়ার সভাপতিত্বে ও থানা ছাত্রলীগ সভাপতি ও ২১নং ওয়ার্ডের আ’লীগ নেতা নাজমুল হাসান আরিফের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন ১৯নং ওয়ার্ড আ’লীগ নেতা ফয়সাল মোহাম্মদ,আলমগীর,২০নং ওয়ার্ড আ’লীগ নেতা শহিদ হাসান মৃধা,মোয়াজ্জেম হোসেন বলাই,জাহাঙ্গীর হোসেন,২১নং ওয়ার্ড আ’লীগ নেতা নাজমুল হাসান আরিফ,২২নং আ’লীগ নেতা ও সাবেক থানা ছাত্রলীগ সভাপতি জাকির হোসেন,আমিরুল ইসলাম,২৩নং ওয়ার্ড আ’লীগ নেতা কুদ্দুছ,আঙ্গুর,২৪নং ওয়ার্ড আ’লীগ নেতা শাহআলম,পির মোহাম্মদ পিরু,২৬নং ওয়ার্ড আ’লীগ নেতা আনোয়ার হোসেন আনু,২৭নং ওয়ার্ড আ’লীগ নেতা ও ২৭নং ওর্য়্ডা কাউন্সিলর সিরাজুল ইসলাম প্রমূখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মহানগর আ’লীগের যুব ও ক্রিড়া বিষয়ক সম্পাদক হুমায়ুন কবির মৃধা বলেন,আনোয়ার ভাই আমার গুরু আমি তাকে সম্মান জানিয়েই কথা বলব। পূর্বে মহানগর আ’লীগের কমিটি হয়েছে ২০১৪ সালে। ইতিমধ্যে ১০বছর অতিবাহিত হয়ে গেল এখনও তারা একটা ওয়ার্ড কমিটি উপহার দিতে পারেন নাই। আজকে ফেসবুকে দেখলাম একটা লেখা “কাকায় মানকা চিপায় পড়ছে”। আসলে আনোয়ার ভাই বড় ভাই সম্মান করি কিছু বলতে পারি না। তারা কমিটি দিল অথচ একটা প্রেসকনফারেন্সও করেন নাই। এমন কমিটি মেনে নেয়া যায় না। এই কমিটি নিয়ে ফেসবুকে লিখেছিলাম রাজারের ছেলে.স্বাধীনতা বিরোধী ও ওয়ানম্যান শো নেতাদের কমিটিতে পদ দেয়া হয়েছে। এটা মিথ্যা লেখি নাই। মদনগঞ্জে ১৯নং ওয়ার্ডে রাজাকারের ছেলেকে সভাপতি করা হয়েছে,মদনপুরে ২৭নং ওয়ার্ডে একজন মুক্তিযোদ্ধা হত্যাকারী লিষ্টেড আসামী আলাউদ্দিন মিয়ার ছেলে মামুনকে সভাপতি করা হয়েছে। ২১নং ওয়ার্ডে সাধারন সম্পাদক করা হয়েছে মনিরুজ্জ¥ান খোকনকে। তার শ^শুর জামায়াতের নাশকতায় গ্রেফতার হয়েছিল। আ’লীগের মধ্যে কি এমন করুন দশা হয়ে গেছে। একজন প্রতিবন্ধী বুলবুলকে সভাপতি বানানো হয়েছে। যাকে জোর করে সভাপতি বানিয়েছে তারা। সিকিউরিটি গার্ডকে সভাপতি বানিয়েছে। ছি ছি এর চেয়ে লজ্জা আর কি হতে পারে। আমি ৪৬ বছর ধরে রাজনীতি করি। আপনাদের কারনে আজ আ’লীগ অফিসে তালা জুলেছে। রেহাই পাবেন না। আমাকেও হুমকি দেয়া হচ্ছে। আমার কচুও করতে পারবেন না আপনারা। মনে রাখবেন আমাদেও নেতা শামীম ওসমান। আমাদের নেতা শামীম ওসমান ও মেয়র আইভী ছাড়া কারো কথা শুনবো না। অবিলম্বে এই পকেট কমিটি বাতিল করতে হবে।
সভাশেষে তারা বন্দর শাহীমসজিদ মাদ্রাসা মাঠ থেকে পকেট কমিটি বাতিল কর,মনগড়া কমিটি মানি না এসব শ্লোগান দিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করে বন্দর বাসষ্ট্যান্ড এসে মিছিলটি সমাপ্ত করেন।