Daily Prothom Barta - Menu
নির্বাচনে অনেক খেলা হবে:চেয়ারম্যান প্রার্থী একেএম আবু সুফিয়ান
শহর প্রতিনিধি
নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও বন্দর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থী একেএম আবু সুফিয়ান বলেছেন,, মানুষ রাজনীতি করে তারা চায় মৃত্যুর পরেও যেন মানুষ তাদের মনে রাখে। গতবছর আমি প্রার্থী ছিলাম। তখন দলীয় মনোনয়ন ছিল। রশিদ ভাই গতবার মনোনয়ন পেয়েছে তিনি নির্বাচিত হয়েছেন। এবার দল ওপেন করে দিয়েছে। আমি বলেছে আমি নির্বাচন করবো। চেয়ারের মালিক আল্লাহ। আল্লাহ যদি চায় তাহলে আমাকে এখানে কামিয়াব করবে। নির্বাচনে অনেক খেলা হবে। আপনারা সাবধানে থাকবেন। আপনাদের ভোটে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি ভাল কাজ করলে সেটার সওয়াব আপনারাও পাবেন। আমি টাকার নির্বাচন করবো না।
শুক্রবার ১ মার্চ বাদ এশা হাজীপুর মাজার প্রাঙ্গণে আসন্ন ৪ মে বন্দর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের উঠান বৈঠকে তিনি একথা বলেন।
হাজীপুর বড় জামে মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদক মাহবুব আলম বাবু সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন হাজীপুর বড় জামে মসজিদ কমিটির সভাপতি হাজী লিটন, সহ-সভাপতি মোতাহার হোসেন, কবির হোসেন, সিদ্দিকুর রহমান, হাজীপুর পঞ্চায়েত সভাপতি নুর মোহাম্মদ ও বিশিষ্টজন সিরাজুল ইসলাম প্রমুখ।
সুফিয়ান আরও বলেন, আমরা একটা বাড়ি তৈরি করতে গেলে একটা ডিজাইন করি। প্রতিটি এলাকার উন্নয়ন করতে হলে সপ এলাকায় আগামী ২০ বছরের জন্য মাস্টার প্ল্যান করতে হয়। শেখ হাসিনা সরকারের ভিশন ২০২১ ছিল। যে বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশ হবে, ডিজিটাল বাংলাদেশ হবে। এখন ভিশন হল ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশে চলে যাবে। প্রতিটি এলাকারই মাস্টার প্ল্যান লাগে। এটা আপনারা অনুধাবন করবেন। আজ থেকে ১২ বছর আগে এলাকার উন্নয়ন ছিলনা। রাস্তায় গর্ত ছিল। মেয়র আইভী আসার পরেই সিটি করপোরেশনের মাস্টার প্ল্যান করেছেন। প্রতিটি ইউনিয়নেই এই মাস্টার প্ল্যান থাকে। হাজীপুরের পানি শীতলক্ষ্যা নদীতে যায়। সেটার জন্য ওয়াটার লেভেল মেন্টেইন করতে হয়। আগামী একশো বছরের চিন্তা করে এ প্ল্যান করা হয়েছে। এ ড্রেনের পানি পাস করতে কী গভীরতার ড্রেন লাগবে সে পরিকল্পনা করে এ রাস্তা ও ড্রেন করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ৫নং ঘাটে ব্রিজ হবে। জুন মাসে এ ব্রিজের কাজ শুরু হবে। এটাকে বলা হয় মাস্টার প্ল্যান। নির্বাচন আসলে প্রার্থীরা এলাকায় যা লাগবে দিয়ে দেন। ভোটের পর এ ভোগান্তি জনগণকেই পোহাতে হয়। নির্বাচনে আপনি সর্বোচ্চ পাঁচ হাজার টাকা কামাবেন। কিন্তু বিশ টাকার রিকশাভাড়া হয়ে যায় ৬০ টাকা। যারা নির্বাচন করতে চান। তাদের কাছে আমার প্রশ্ন তারা কী কোন মাস্টার প্ল্যান করেছে কীনা। তারা যদি করে থাকে তাহলে আমি নির্বাচন করবো না। আজ সব ভরাট হয়ে যাচ্ছে। তাহলে পানি কোথায় যাবে। আপনারা বর্তমান ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যানসহ সবাইকে বলবেন মাস্টারপ্ল্যান দেখাতে। তাহলে আমি নির্বাচন করবো না।
এর আগে উপস্থিত এলাকাবাসীর পক্ষে বক্তারা বলেন, মেয়র আইভীর নাসিকের রাস্তা ভাঙ্গে না,আর আমাদের রাস্তা ভাঙ্গে। বন্দর উপজেলা চেয়ারম্যান অনেকদের দেখছি, তারা কাজ করে না। এবার নতুনকে দেখার সুযোগ দেয়া উচিত। নাসিকের রাস্তা ঘাট পার্ক ও বন্দরের উন্নয়নে আবু সুফিয়ানের হাত রয়েছে। আমাদের ৮ বছরে ধরে হাজীপুরের চলাচলের প্রধান ব্রীজটি মেরামত করা হয়নি। আগে চেয়ারম্যানরা করে নাই, বর্তমানেও করছে না। এমন পর্যায়ে মহান আল্লাহ পাঠিয়েছে আবু সুফিয়ানকে। তার মাস্টার প্লানে হাজীপুর মানুষ দীর্ঘদিনের বঞ্চিত হওয়া উন্নয়ন লাভ করবে।