Daily Prothom Barta - Menu
২৫ রমজানের মধ্যে শ্রমিকদের বেতন বোনাস পরিশোধ না হলে মালিকদের বাড়ি ঘেরাও
শহর প্রতিনিধি
আগামী ২৫ রমজানের মধ্যে শ্রমিকদের বকেয়া বেতন ভাতা পরিশোধের দাবি জানিয়েছেন বাংলাদেশ জাহাজী শ্রমিক ফেডারেশন ও মুক্ত গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশন। নয়তো সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের মালিকদের অফিস বাসা বাড়ি ঘেরাও করা হবে বলে হুশিয়ারী উচ্চারণ করেছে শ্রমিক নেতৃবৃন্দ। বুধবার ৩ এপ্রিল ঈদের আগে শ্রমিকদের বেতন বোনাসসহ গেজেট অনুযায়ী সমস্ত বকেয়া পাওনা পরিশোধ করা, শ্রমিক ছাটাই নির্যাতন বন্ধসহ শ্রমিক স্বার্থ বিরোধী সকল কালো আইন বাতিল করার দাবিতে নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাব প্রাঙ্গনে আয়োজিত মানববন্ধনে এ হুশিয়ারী উচ্চারণ করা হয়। বাংলাদেশ জাহাজী শ্রমিক ফেডারেশন ও মুক্ত গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশন নারায়ণগঞ্জ জেলার যৌথ উদ্যোগে মানববন্ধন শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। মুক্ত গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশন নারায়ণগঞ্জ জেলার সভাপতি জুয়েল প্রধানের সভাপতিত্বে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জাহাজী শ্রমিক ফেডারেশন কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক সবুজ শিকদার। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জাহাজী শ্রমিক ফেডারেশনের কার্যকরী সভাপতি মঈন মাহমুুদ, সহসভাপতি লিয়াকত আলী, চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিটির উপদেষ্টা মোস্তাফিজুর রহমান, বিআইডব্লিউটিসি ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন চুন্নু, বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ও কর্মচারী ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় কমিটির দপ্তর সম্পাদক কবির হোসেন, সহ সম্পাদক আক্তার হোসেন, নারায়ণগঞ্জ শাখার সভাপতি নিজাম উদ্দিন খাঁন, মিরাজ হোসেন প্রমুখ।
মানববন্ধনে সবুজ শিকদার বলেন, আমরা তো মালিকদের কাছে যাকাত ফেতরা চাইনা। আপনারা আলিশান গাড়িতে ঘুরেন যাকাত ফেতরার টাকা দিয়ে কেনা কাপড় গরীব মিসকিনদের দিয়ে ফটোসেশন করে নিজেদের প্রচারণা করেন। অথচ আমাদের শ্রমিকদের বকেয়া বেতন বোনাসের জন্য সমুদ্র নদীতে থাকতে হয় সড়কে ঘুরতে হয়। আমরা আগামী ২৫ রমজানের মধ্যে শ্রমিকদের বেতন বোনাসসহ গেজেট অনুযায়ী সমস্ত বকেয়া পাওনা পরিশোধ করতে হবে। সমস্ত প্রতিষ্ঠান ছুটি দিয়ে শ্রমিকদের নিরাপদে বাড়িতে যাওয়া ও কর্মস্থলে ফিরে আসার জন্য নৌপথ ও সড়কপথে নিরাপদ পরিবহনের ব্যবস্থা করতে হবে। যদি ২৫ রমজানের মধ্যে শ্রমিকদের বেতন বোনাসসহ বকেয়া পাওনাদি পরিশোধ করা না হয় তাহলে মালিকদের কারখানা ও বসতবাড়ি ঘেরাও করা হবে। প্রতি বছরই ঈদের উৎসব আসলে আমাদেরকে আন্দোলনে নামতে হয়। আমার প্রশ্ন কেন আমাদের পাওনার জন্য রাস্তায় নামতে হবে। এর একটা স্থায়ী সমাধান হওয়া দরকার।