Daily Prothom Barta - Menu
বন্দরে বাড়ির সিমানা নিয়ে বিরোধ সন্ত্রাসী হামলায় স্বামী ও স্ত্রী জখম
বন্দর প্রতিনিধি : বন্দরে বাড়ির সিমানা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষের সন্ত্রাসী হামলায় স্বামী ও স্ত্রী রক্তাক্ত জখম হয়েছে। ওই সময় হামলাকারীরা বাসা বাড়ি ও কনফেকশনারিতে ব্যাপক ভাংচুর চালিয়ে ১ লাখ টাকা ক্ষতিসাধনসহ ১ ভরি ওজনের গলার চেইন লুট করে নিয়ে যায়। আহতরা হলো বন্দর থানার ২৭ নং ওয়ার্ডের লালখারবাগ এলাকার মৃত আহাম্মদ আলী মেম্বারের ছেলে নূর হোসেন (৪৭) ও তার স্ত্রী নিলুফা বেগম (৩৬)। স্থানীয়রা আহতদের জখম অবস্থায় উদ্ধার করে বন্দর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রেরণ করেছে। রোববার (১৪ জুলাই) বিকেল ৪টায় বন্দর থানার ২৭ নং ওয়ার্ডের ফুলহর এলাকায় এ সন্ত্রাসী হামলার ঘটনাটি ঘটে। এ ব্যাপারে আহতের বড় বোন রুজিনা বেগম বাদী হয়ে ঘটনার ওই দিন রাতে ২ নারীসহ ৫ জনের নাম উল্লেখ্য বন্দর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ পেয়ে বন্দর থানা পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। অভিযোগ সূত্রে
জানাগেছে, বন্দর থানার মদনপুরস্থ মৃত ইলিয়াস মোল্লা মিয়ার সন্ত্রাসী ছেলে রিয়াদ একই এলাকার মৃত শুক্কুর আলী মিয়ার দুই মেয়ে লেডি সন্ত্রাসী রুমা আক্তার ও সুমি আক্তার তাদের ভাই মাসুম ও একই এলাকার রিয়াদ মিয়ার ছেলে রিফাত গংদের সাথে দীর্ঘ দিন ধরে একই এলাকার মৃত শুক্কুর আলী স্ত্রী রুজিনা বেগমের সাথে বাড়ি সিমানা সংক্রান্ত বিরোধ চলছিল। উল্লেখিত বিবাদীগন নিরিহ রুজিনা বেগমের মালিকানাধীন জায়গা জমি জোর পূর্ব দখল করার পাঁয়তারাসহ বিভিন্ন ভাবে হুমকি দামকি দিয়ে আসছিল। এর ধারাবাহিকতায় রোববার (১৪ জুলাই) বিকেল ৪টায় উল্লেখিতরা ধারালো অস্ত্রসস্ত্রে সজ্জিত হয়ে নিরিহ রুজিনার বসত বাড়িতে অনাধিকার ভাবে প্রবেশ করে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করে। ওই সময় গৃহবধূ রুজিনা বেগম ও তার বোন নিলুফা ও বোন জামাই নূর হোসেন এর প্রতিবাদ করলে ওই সময় সন্ত্রাসী রিয়াদ, মাসুম ও রিফাত ধারালো অস্ত্র দিয়ে আমার ছোট বোন জামাই ও তার স্ত্রীকে এলোপাতারী ভাবে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে বাড়ি ঘর ও কনফেকশনারি ভাংচুর করে ১লাখ টাকা ক্ষতিসাধন করে। ওই সময় লেডি সন্ত্রাসী রুমা বেগম ও তার ছোট বোন সুমি নিরিহ রুজিনা বেগমকে বেদম ভাবে পিটিয়ে নিলাফুলা জখম করে ঘরে রক্ষিত ১ ভরি স্বর্ণালংকার লুট করে নিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে বন্দর থানার ওসি গোলাম মোস্তফা জানান, মারামারি ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ দায়েরের পর পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। অভিযোগটি তদন্তাধীন রয়েছে। তদন্ত শেষে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।