Daily Prothom Barta - Menu
ক্রোনী গ্রুপের অবন্তী কালার টেক্স লিমিটেডের বকেয়া বেতনের দাবিতে কর্মবিরতি শ্রমিকদের
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪
শহর প্রতিনিধি
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার শাসনগাওস্থ বিসিক শিল্পাঞ্চলে বকেয়া বেতনের দাবিতে কর্মবিরতি দিয়ে বিক্ষোভ করছেন ক্রোনী গ্রুপের অবন্তী কালার টেক্স লিমিটেড কারখানার হাজারো শ্রমিক।
বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারী)সকাল আটটা থেকে কারখানার ভেতরে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছেন তারা।গত বুধবারও একই দাবিতে কর্মবিরতি দিয়ে বিক্ষোভ করেন তারা।
শ্রমিকদের অভিযোগ, সকালে বিক্ষোভ প্রদর্শনের সময় স্থানীয় যুবলীগ নেতা বিসিক সোহেল ও তার লোকজন তাদের বাধা দেওয়ার চেষ্টা করে। পরে শ্রমিকরা তাদের ধাওয়া দিয়ে কারখানা থেকে বের করে দেন। এ সময় কারখানার ভেতরের একটি স্থান থেকে কয়েকটি দেশীয় ধারালো অস্ত্র ও লাঠিসোটা উদ্ধারের কথা জানান শ্রমিকরা। শ্রমিকদের দমন করতে এসব রাতেই কারখানার ভেতর ঢোকানো হয়েছে বলে অভিযোগ তাদের।
বিক্ষুব্দ কারখানার শ্রমিকরা বলেন, সকাল থেকে কারখানায় শিল্প পুলিশের সদস্যরা উপস্থিত থাকা অবস্থায় বহিরাগতরা কারখানায় প্রবেশ করে বিশৃঙ্খলার চেষ্টা করে। তারা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। উদ্ধার করা অস্ত্রগুলো পুলিশের কাছে জমা দিতে অসম্মতি জানিয়ে তারা বলেন, এগুলো তারা র্যাবের কাছে জমা দিবেন।
কারখানাটির নিটিং সেকশনের শ্রমিক জামাল হোসেন বলেন, গত ছয় মাস যাবৎ বেতন নিয়ে সমস্যা করছে কারখানা কর্তৃপক্ষ। নানা অজুহাতে কিস্তিতে বেতন পরিশোধ করছে। বিক্ষোভ ছাড়া বেতন পরিশোধ করছে না।
‘নিয়ম অনুযায়ী ২৫ তারিখে মাস শেষ হয়। পরবর্তী মাসের ১ তারিখের মধ্যে বেতন পরিশোধ করার কথা। কিন্তু আজ ফেব্রুয়ারি মাসের ৮ তারিখেও জানুয়ারির বেতন পাইনি।অনেকে ডিসেম্বরেরও আংশিক বেতন পান।’
শ্রমিকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, কারখানাটির ডাইং ও নিটিংসহ বিভিন্ন সেকশনে অন্তত ১০ হাজার শ্রমিক কর্মরত।এখন পর্যন্ত শ্রমিকরা শান্তিপূর্ণভাবে বিক্ষোভ করছেন, পরিস্থিতি শান্ত আছে জানিয়ে ।
ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূরে আযম জানান, ‘বকেয়া বেতনের দাবিতে বিক্ষোভ করছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পুলিশ মোতায়েন আছেন।’
‘শ্রমিকরা কোন অস্ত্র উদ্ধার করেছে কিনা সে বিষয়ে আমরা অবগত নই। তবে, তেমনটা হয়ে থাকলে ওগুলো আমরা জব্দ করবো’।ৎ
উল্লেখ্য, গত ২৪ ডিসেম্বর ‘অর্ডার কমে যাওয়ার’ কথা জানিয়ে ক্রোনী গ্রুপের প্রতিষ্ঠান ‘ক্রোনী টেক্স সোয়েটার লিমিটেড’ নামে কারখানাটি লে-অফ ঘোষণা করা হয়। প্রতিবাদে পরদিন সকালে কারখানাটির কয়েকশ শ্রমিক ঢাকা-মুন্সীগঞ্জ সড়কে বিক্ষোভ করেন।