Daily Prothom Barta - Menu
কোমরের বেল্ট দিয়ে হত্যা করে মিশুক ছিনতাই করে দুই বন্ধু
শহর প্রতিনিধি
নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা এলাকায় মিশুক চালক রাজু হত্যার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে পারভেজ (৩০) নামে একযুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ।
গ্রেফতারকৃত পারভেজ(৩০) ফতুল্লার পাগলা বটতলা বৌ বাজার এলাকার মুসা মিয়ার পুত্র।
শনিবার দুপুরে তাকে ফতুল্লা থানার লালপুর পৌষাপুকুর পাড় এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় নিহত মিশুক চালক রাজুর ব্যবহৃত মোবাইল ফোন উদ্ধার সহ হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত কালো রংয়ের একটি বেল্ট জব্দ করেছে পুলিশ।
মামলা সূত্রে জানা গেছে,বৃহস্পতিবার দুপুর ১২ টার দিকে জরুরী সেবা ৯৯৯-এ ফোন পেয়ে ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশ পিলকুনী কবরস্থান সংলগ্ন ডোবা থেকে মিশুক চালক রাজুর লাশ উদ্ধার করে ।পরে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায় পুলিশ। এর একদিন পর শুক্রবার সকালে নিহত রাজুর মা পেয়ারা বেগম বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামাদের বিরুদ্ধে ফতুল্লা মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ফতুল্লা মডেল থানার উপ-পরিদর্শক সাইফুল ইসলাম জানায়, জরুীর সেবা ৯৯৯ ফোন পেয় ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তথ্য প্রযুক্তি ও নিজস্ব সোর্সের মাধ্যমে নিশ্চিত হয়ে শনিবার দুপুর তিনটার দিকে লালপুর পৌষাপুকুর পাড় এলাকায় অভিযান চালিয়ে হত্যাকান্ডের সাথে সরাসরি জড়িত পারভেজ নামের এক যুবক কে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় হত্যাকান্ডের ব্যবহৃত কালো রংয়ের একটি চামড়ার বেল্ট ও নিহতের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত পারভেজ হত্যাকান্ডের কথা স্বীকার করে। আরো এক ঘাতকের সহোযোগিতায় এ হতাকান্ডের ঘটনা ঘটায়। গ্রেফতারকৃত পারভেজ গার্মেন্টেসে চাকুরী করে তার সহযোগি অপর ঘাতক রাকিব তার মতোই গার্মেন্টেসে কর্মরত। ঘটনার রাতে তারা পৌষাপুকুর পাড় থেকে ঘুরতে যাওয়ার কথা বলে মিশুক ভাড়া নেয়। পরবর্তীতে নন্দলালপু- পিলকুনী সড়কে নির্জন স্থানে সুযোগ বুঝে কোমরের চামড়ার বেল্ট দিয়ে গলায় পেচিয়ে হত্যা করে মিশুক নিয়ে পালিয়ে যায়।হত্যাকান্ডে জড়িত অপর ঘাতক রাকিবকেও আইন-শৃখংলারক্ষাকারী বাহিনী গ্রেফতার করেছে বলে তিনি জানতে পেরেছেন। ছিনিয়ে নেয়া মিশুক অতি দ্রুতই উদ্ধার করা হবে বলে তিনি জানান।
নিহত মিশুক চালক রাজু ফতুল্লা মডেল থানার লালপুর পৌষাপুকুর পাড় এলাকার সিরাজ মিয়ার ভাড়াটিয়া মৃত মোক্তার আহম্মদের পুত্র।