Daily Prothom Barta - Menu
৫টি উপজেলায় ৩ লাখ ২৬ হাজার ৩৬০ শিশু পাবে ভিটামিন এ ক্যাপসুল
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৫ ডিসেম্বর, ২০২৩
শহর প্রতিনিধি
নারায়ণগঞ্জ জেলার ৫টি উপজেলায় (সিটি করপোরেশন এলাকা ব্যতীত) ৬ থেকে ৫৯ মাস বয়সী ৩ লাখ ২৬ হাজার ৩৬০ জন শিশুকে মঙ্গলবার ১২ ডিসেম্বর খাওয়ানো হবে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল। জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ জানিয়েছে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুলে কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই।
সোমবার ১১ ডিসেম্বর সকালে নারায়ণগঞ্জ সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন উপলক্ষ্যে সাংবাদিক ওরিয়েন্টন সভায় জেলা সিভিল সার্জন ডা. মশিউর রহমান জানান, এবছর মঙ্গলবার ১২ ডিসেম্বর দিনব্যাপী ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। নারায়ণগঞ্জ জেলার ৬ থেকে ১১ মাস বয়সী ৪০ হাজার ১৪৩ জন শিশুকে নীল রঙের ভিটামিন এ ক্যাপসুল ও ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী ২ লাখ ৮৬ হাজার ২১৭ শিশুকে লাল রঙের ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।’ এছাড়া শিশুকে জন্মের ৬ (ছয়) মাস পর্যন্ত বুকের দুধ পান করাতে হবে এবং শিশুর বয়স ৬মাস পূর্ন হলে মায়ের দুধের পাশাপাশি ঘরে তৈরী সুষম খাবার খাওয়ানো বিষয়ে পুষ্টি বার্তা প্রচার করা হইবে। অত্র জেলায় (সিটি করপোরেশন ব্যতিত) স্থায়ী ও অস্থায়ী টিকাদান কেন্দ্র ১ হাজার ৫৬টি, প্রতি কেন্দ্রে মোট ৩ জন (স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের কর্মীসহ) শিক্ষক ও স্বেচ্ছাসেবকের মাধ্যমে জাতীয় ভিটামিন-এ প্লাস ক্যাম্পেইন কার্যক্রম বাস্তবায়নের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। দিবসটি পালনের জন্য সর্বস্তরের জনগোষ্ঠিকে অবহিত করার জন্য নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন ও উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগের মাধ্যমে সর্বত্র মাইকে প্রচারনার ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। তাছাড়া স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের কর্মীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে দিবসটি সম্পর্কে জনগণকে অবহিত করেছেন। জেলা তথ্য বিভাগ এর মাধ্যমে বিভিন্ন তথ্য ও মাইকিং এর মাধ্যমে জনগণের মাঝে সচেতনতা মূলক প্রচারনা অব্যাহত আছে। এছাড়াও জেলার মসজিদগুলোতে মাইকের মাধ্যমে জানানোর জন্য ইমামদের প্রতি নির্দেশনা প্রেরণ করা হয়েছে। এছাড়া যেসব এলাকায় শিশুদের বাদ পড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে সেসব এলাকাগুলোতেও নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। বিশেষ করে ইটভাটা, বেদেপল্লী, পথশিশু, চর এলাকা, এতিমখানা, বস্তিসহ অন্যান্য দুর্গম এলাকাগুলোতে ক্যাম্পেইনের পরবর্তী ৪ দিন অনুসন্ধান চালানো হবে। কোন শিশু যদি ক্যাম্পেইনের দিন বাদ পড়ে যায় তাহলে পরেও স্বাস্থ্যকর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ করে খেতে পারবে।
জেলা ইপিআই সুপারিন্টেন্ডেন্ট লুৎফর রহমানের সঞ্চালনায় সভায় প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিকেল অফিসার ডা. একেএম মেহেদী হাসান।
সভায় অন্যান্যদের আরো উপস্থিত ছিলেন জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিকেল অফিসার ডা. শিল্পী আক্তার, জেনারেল (ভিক্টোরিয়া) হাসপাতালের এমটি (ইপিআই) অলক রহমান, মো. আনোয়ার হোসেন ও শওকত জামান প্রমূখ।