Daily Prothom Barta - Menu
মামুনুল হকের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলায় তদন্তকারী কর্মকর্তাকে জেরা
সর্বশেষ • প্রধান সংবাদ • আইন ও আদালত • নারী ও শিশু ||
Daily Prothom Barta
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ, ২০২৪
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ, ২০২৪
শহর প্রতিনিধি
হেফাজতে ইসলামের বিলুপ্ত কমিটির যুগ্ম-মহাসচিব মামুনুল হকের বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ থানায় দায়ের করা ধর্ষণ মামলায় তদন্তকারী কর্মকর্তা ইন্সফেক্টর এস এম শফিকুল ইসলামকে তৃতীয় দফায় জেরা করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক নাজমুল হক শ্যামলের আদালতে এই জেরা করা হয়।
জেরা শেষে আসামী পক্ষের আইনজীবীরা আরও একদিন জেরার করার জন্য সময় চাইলে আদালত আগামী ২৩ এপ্রিল পরবর্তী জেরার দিন ধার্য করেছেন। সেই সাথে এদিন মামুনুল হকের জামিন আবেদন করলে আদালত শুনানী শেষে পরে আদেশ দিবেন বলে জানিয়েছেন।
এর আগে সকালে কঠোর নিরাপত্তা বলয়ের মধ্যে দিয়ে কাশিমপুর কারাগার থেকে নারায়ণগঞ্জের আদালতে আনা হয়। সেই সাথে দুপুরে কঠোর নিরাপত্তা বলয়ের মধ্যে দিয়ে তাকে আদালতে উঠানো হয়।
ক্র্যাচে ভর দিয়ে মামুনুল হক আদালতে উঠেন। জেরা শেষে তাকে আবার কাশিমপুর কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এখন পর্যন্ত এই মামলায় ৪০ জন স্বাক্ষীর মধ্যে এখন পর্যন্ত ২৬ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে।
আসামী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট একেএম ওমর ফারুক নয়ন বলেন, আমরা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস এম শফিকুল ইসলামকে তৃতীয় দিনের মতো জেরা করেছি। জেরায় তিনি অনেক প্রশ্নের উত্তর দিতে পারেননি। যৌনক্রিয়ার আলামত তিনি সংগ্রহ করেননি। আমরা আজ তাকে ৭০ থেকে ৮০ টি প্রশ্ন করেছি। তিনি একটি প্রশ্নের উত্তর দিতে পারেনি। তিনি শুধু বলেছেন জানি না মনে নেই। এতে বুঝা যায় এটা গোঁজামিলের তদন্ত দায়সারা তদন্ত। এটা একটি মিথ্যা মামলা।
তিনি আরও বলেন, আমরা এই মামলায় মামুনুল হকের জামিন চেয়েছিলাম। যেহেতু তিনি অনেকদিন ধরে কারাগারে আছেন। আমরা মানবিক কারণে জামিন চেয়েছিলাম। আদালত আমাদের কথা শুনেছেন। আদেশ পরে দিবেন বলে জানিয়েছেন। আশা করি আমরা ন্যায়বিচারের স্বার্থে জামিন পাবো।
আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) রকিব উদ্দিন আহমেদ বলেন, আসামীপক্ষ ইচ্ছা করেই মামলাটির বিচার কার্যক্রম বিলম্বিত করার জন্য বারবার তদন্তকারী কর্মকর্তাকে জেরা করছে। এই পর্যন্ত তারা তিনদিন জেরা করেছে। আরও একদিন সময় চেয়েছে। সচরাচর একদিনের জেরাই যথেষ্ট হয়ে যায়। রায় তাদের বিপক্ষে যাবে এজন্য তারা দেরি করছে। এ পর্যন্ত যারা স্বাক্ষী দিয়েছেন সকলেই মামুনুল এই ধর্ষণকাজের সাথে সম্পৃক্ত বলেছেন।
ভিডিও
...অন্যান্য বিভাগের আরো কিছু খবর...
শিরোনাম