Daily Prothom Barta - Menu
সিএনজি চালককে মারধর: চাঁদাবাজ সোহাগ বাহিনীর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ
বন্দর প্রতিনিধি: বন্দরে দাবিকৃত চাঁদা না দেওয়ার অভিযোগে সিএনজি চালকদের মারধর করার অভিযোগ উঠেছে চাঁদাবাজ সোহাগ বাহিনীর বিরুদ্ধে। আহত হয়েছেন সিএনজি চালক রানা, তারেক ও স্বপন।
রবিবার রাতে বন্দর ১নং খেয়াঘাট সিএনজি স্ট্যান্ডে এ মারধরের ঘটনা ঘটেছে। এঘটনায় গুরুতর আহত সিএনজি চালক রানাকে উদ্ধার করে বন্দর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এই ঘটনায় বন্দর থানা একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন আহতের ভাই দুলাল।
অভিযুক্তরা হলেন নাসিক ২২নং ওয়ার্ড কাজীবাড়ি এলাকার কাজী সালাউদ্দিন মিয়ার ছেলে ঘার ব্যাকা কাজী সোহাগ, কলাগাছিয়া ইউনিয়নের জিওধরা এলাকার শাহীন, মদনগঞ্জ এলাকার রশিদ, কলাগাছিয়া নিংশ এলাকার আব্দুর রহমান, আকাশ ও কিমন খান সহ অজ্ঞাতনামা আরও ১০ থেকে ১৫জন।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, নামদারি যুবদল নেতা কাজী সোহাগ, আকাশ ও কিমন খান দীর্ঘদিন যাবৎ বন্দর সিএনজি স্ট্যান্ড সংলগ্ন এলাকায় সন্ত্রাসী কর্মকান্ড চালিয়ে আসছে। চাঁদার বিরুদ্ধে দুলাল ও সিএনজি চালক রানা প্রতিবাদ করতে উল্লেখিত চাঁদাবাজরা নানা ভাবে ভয়ভীতি ও হুমকি দিয়ে আসছে। এরই জের ধরে রবিবার রাত সোয়া ৯ টার দিকে বন্দর সিএনজি স্ট্যান্ডে পূনরায় চাঁদা চাইলে রানা প্রতিবাদ করলে সোহাগের নেতৃত্বে আকাশ, কিমন খান সহ উল্লেখিতরা এলোপাথাড়ি মারধর শুরু করে। এক পর্যায়ে সোহাগের নেতৃত্বে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে স্ট্যান্ড থেকে রানাকে তুলে নিয়ে কাটপট্রি এলাকায় গিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে করে ইলেকট্রিক শক দেয় এবং মাথায় ধারালো সুইচ গিয়ার দিয়ে এলোপাথাড়িভাবে আঘাত করে জখম করা হয়। পরে ডাকচিৎকারে লোকজন এগিয়ে আসলে উল্লেখিতরা খুনের হুমকি প্রদান করে এবং পূনরায় চাঁদা ওটাঠে বাধা দিলে পথেঘাটে যেখানে পাবে সেখানের হত্যার হুমকি দিয়ে চলে যায়। আহত অবস্থায় রানাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করে এবং বন্দর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়।
এবিষয় বন্দর থানার আইও এসআই হুমায়ন কবির জানান, মারধর করেছে ঘটনা সত্য। বন্দর সিএনজি স্ট্যান্ডে কাচাবাজার দোকানদারদের কাছ থেকে চাঁদা নিয়েছে কিছু দোকানদার বলছে এবং আরো কিছু তদন্ত বাকী আছে সেগুলো তদন্ত চলছে।